বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস আজ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শনিবার (১১ অক্টোবর) নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।
‘বিপর্যয় কর ও জরুরি পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সুযোগ’- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সকালে বেলুন-ফেস্টুন উড়ানোর পর এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালি শেষে সিনেট ভবনে আলোচনা সভা ও ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
প্রফেসর ড. সালেহ্ হাসান নকীব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে দেশের ১৯ শতাংশ মানুষের কোনো না কোনো ভাবে মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয় সংখ্যাটা এর চেয়েও বেশি। সত্যিকার অর্থে সুস্থ মানুষের যে বৈশিষ্ট্য থাকার কথা সে বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।
দেশে মানসিক স্বাস্থ্য ইস্যুকে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সমাজ মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে অসচেতন। আমরা যেভাবে শারীরিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা অনুভব করি সেভাবে মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা অনুভব করি না।
মানসিক সমস্যাগ্রস্তদের আমরা অনেক সময় অবহেলা করি যেমনটা গ্রামে-গঞ্জে মানসিক ভারসাম্যহীনদের দিকে ঢিল ছুড়ে মারা দেখলেই বুঝা যায়। শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেরও সমান গুরুত্ব রয়েছে। এবিষয়ে আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সবার মধ্যেই ভালো থাকা বা খারাপ থাকার অনুভ‚তি রয়েছে। এসব নিয়েই আমাদের জীবন। যারা এই দুটোকেই সমানভাবে মোকাবেলা করতে পারে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো বলা যায়। যে হৃদয়ে কোনো ক্ষত নেই সে হৃদয়ে কোনো আলো প্রবেশ করতে পারে না। সত্যিকার অর্থে একজন হৃদয়বান ভালো মানুষ হতে গেলে জীবনে ট্রমা বা ক্ষত থাকা দরকার বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি বিভাগে একটি প্রাইমারি মেন্টাল কেয়ার এর উদ্যোগ নিতে চাই। একজন মহিলা ফ্যাকাল্টি স্টাফসহ আপনারা যদি প্রাইমারি কিছু প্রশিক্ষণ দেন তাহলে শিক্ষার্থীরা এখান থেকে উপকৃত হবে বলে আশা করি। এ ধরনের উদ্যোগে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহা. এনামুল হক এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ মো. আবু হেনা মোস্তফা আলীম।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট কাউন্সেলিং এন্ড গাইডেন্স অফিসের পরিচালক প্রফেসর ড. মেহজাবীন হক।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যাক্ষ প্রফেসর মো. মতিয়ার রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
‘বিপর্যয় কর ও জরুরি পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সুযোগ’- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সকালে বেলুন-ফেস্টুন উড়ানোর পর এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালি শেষে সিনেট ভবনে আলোচনা সভা ও ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
প্রফেসর ড. সালেহ্ হাসান নকীব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে দেশের ১৯ শতাংশ মানুষের কোনো না কোনো ভাবে মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয় সংখ্যাটা এর চেয়েও বেশি। সত্যিকার অর্থে সুস্থ মানুষের যে বৈশিষ্ট্য থাকার কথা সে বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।
দেশে মানসিক স্বাস্থ্য ইস্যুকে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সমাজ মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে অসচেতন। আমরা যেভাবে শারীরিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা অনুভব করি সেভাবে মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা অনুভব করি না।
মানসিক সমস্যাগ্রস্তদের আমরা অনেক সময় অবহেলা করি যেমনটা গ্রামে-গঞ্জে মানসিক ভারসাম্যহীনদের দিকে ঢিল ছুড়ে মারা দেখলেই বুঝা যায়। শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেরও সমান গুরুত্ব রয়েছে। এবিষয়ে আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সবার মধ্যেই ভালো থাকা বা খারাপ থাকার অনুভ‚তি রয়েছে। এসব নিয়েই আমাদের জীবন। যারা এই দুটোকেই সমানভাবে মোকাবেলা করতে পারে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো বলা যায়। যে হৃদয়ে কোনো ক্ষত নেই সে হৃদয়ে কোনো আলো প্রবেশ করতে পারে না। সত্যিকার অর্থে একজন হৃদয়বান ভালো মানুষ হতে গেলে জীবনে ট্রমা বা ক্ষত থাকা দরকার বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি বিভাগে একটি প্রাইমারি মেন্টাল কেয়ার এর উদ্যোগ নিতে চাই। একজন মহিলা ফ্যাকাল্টি স্টাফসহ আপনারা যদি প্রাইমারি কিছু প্রশিক্ষণ দেন তাহলে শিক্ষার্থীরা এখান থেকে উপকৃত হবে বলে আশা করি। এ ধরনের উদ্যোগে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহা. এনামুল হক এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ মো. আবু হেনা মোস্তফা আলীম।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট কাউন্সেলিং এন্ড গাইডেন্স অফিসের পরিচালক প্রফেসর ড. মেহজাবীন হক।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যাক্ষ প্রফেসর মো. মতিয়ার রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।